Wednesday, March 29, 2023

অবিভক্ত জম্মু-কাশ্মিরে সেনা পাঠাবে তুরস্কের সাদাত বাহিনী? - Amin Tv

 

অবিভক্ত জম্মু-কাশ্মিরে সেনা পাঠাবে তুরস্কের সাদাত বাহিনী? - Amin Tv

সম্প্রতি একটি নিউজ প্রকাশিত হয় যে, উত্তাল জম্মু-কাশ্মীরে সেনা মোতায়েন করতে চলেছে তুরস্কের আধা-সামরিক বাহিনী সাদাত!

জানা যায়, কাশ্মিরে Proxy War পরিচালনার জন্যে সেনা পাঠাতে পারে এই তুর্কি সংস্থাটি। গ্রিসের একটি গণমাধ্যম এমন সংবাদ প্রচার করেছে। মূলত প্রক্সি যুদ্ধ হচ্ছে  দুটি শক্তিশালী রাষ্ট্রের মধ্যে সংঘর্ষের এমন একটি পরিস্থিতি যেখানে কোনও পক্ষ সরাসরি আক্রমণ বা অন্যের প্রতি সামরিক শত্রুতা স্বীকার করে না।


সম্পর্ণ ঘটনাটি ভিডিও আকারে দেখতে চাইলে Amin Tvতে  ক্লিক করুন !

এমন সম্ভাবনাকে মোটেই গুজব বলে উড়িয়ে দেয়া যায় না। এর যথাযোগ্য কিছু কারণও রয়েছে। যেমন-

১) কাশ্মিরকে পাকিস্তানে অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে জাতিসংঘে যে গণভোটের প্রস্তাব রয়েছে, তার পক্ষেই কথা বলেছিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়ব এরদোয়ান।

এবং,

২) পাকিস্তান ও তুরস্কের মধ্যে কূটনৈতিক ও সামরিক সম্পর্ক যথেষ্ট ভাল। এই দুই দেশই ভারতের বিরুদ্ধে অবস্থান করে বলেই অনেকের ধারণা!

তাই তুরস্কের এই সেনা মোতায়েনের খবর সত্যি হলেও অবাক হবার কিছুই নেই!

সাদাত সম্পর্কে আরও বেশকিছু খবর প্রচলিত!  ২০২২ সালে ফিলিস্তিনে বেসামরিক বিদেশী যোদ্ধাদেরকে একত্রিত করতে কাজ করেছে সাদাত। তাছাড়া সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাসার আল আসাদের বিরুদ্ধে যারা বিদ্রোহ করছে, তাদের সাথেও সাদাত বাহিনির যোগসাজস আছে বলে মনে করা হচ্ছে!

২০১৮ সালে ইসরাইলি সংস্থা শাবাখামাস্তের সাথেও এর সম্পৃক্ততার কথা উঠে আসে।

এমন সব সংবাদ প্রচারের পর  জনমনে এক জিজ্ঞাসার উত্থান হতেই পারে , কারা এই সাদাত?

বহুল আলোচিত ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ সম্প্রতি এক নতুন মোড় নিয়েছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার ভাড়াটে সৈন্য WAGNER পাঠানো নিয়ে চলছে তুমুল আলোড়ন। ইতোমধ্যেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করেছে আন্তর্জাতিক আদালত। তারও মধ্যে এবার দৃশ্যপটে এল আরও একটি ভাড়াটে যোদ্ধাগোষ্ঠী- সাদাত!

সাদাত মূলত তুরস্কের একটি বেসরকারি সামরিক বাহিনী। অনেকে এটিকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের "পার্সোনাল ফোর্স" বলেও আখ্যায়িত করেন। এধরণের বাহিনী দেশের স্বার্থে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে কাজ করবার পাশাপাশি পার্সোনাল বা পলিটিক্যাল ফিল্ডেও কাজ করে থাকে! ইরানের IGRC কিংবা ফিলিস্তিনের হামাস বাহিনীর সাথেও এর তুলনা করা যেতে পারে! এ ধরণের সংস্থাগুলো কোন দায়বদ্ধতা কিংবা জবাবদিহিতার মুখাপেক্ষী নয়।

তুরস্কের এই বেসামরিক সংস্থাটি প্রতিষ্ঠা হয় ২০১২ সালে, আদনান তানরিভারডি'র হাত ধরে!

সাদাতের নিজস্ব স্বীকৃত ওয়েবসাইটের তথ্য অনুসারে, এর লক্ষ্য হল প্রশিক্ষণ ও পরামর্শসেবা প্রদানের মাধ্যমে ইসলামি দেশগুলোর মধ্যে প্রতিরক্ষামূলক সহযোগিতা গড়ে তোলা।

সাদাত বাহিনীর কার্যপদ্ধতি তিনটি উপায়ে হয়ে থাকে।

প্রথমত, বিশ্বের বিভিন্ন ধরণের প্রতিরক্ষা বাহিনি এবং ভাড়াটে প্রাইভেট ফোর্সের মাধ্যমে।

দ্বিতীয়ত, অপরাধী বা মাফিয়া নেটওয়ার্কিং এর মাধ্যমে

তৃতীয়ত, বিভিন্ন ইয়ুথ ফোর্সের মাধ্যমে! Amin Tv

কট্টরপন্থী মনোভাবের জন্য তুরস্কের সামরিক বাহিনী থেকে বহিষ্কৃত আদনান ২০১৬  সালে এরদোয়ানের প্রধান উপদেষ্টা নিযুক্ত হন!

ধারণা করা হয়, ২০১৬ সালে তুরস্কে অভ্যুত্থান আন্দোলন পরিচালনাকারীদের বিরুদ্ধে সাদাত বাহিনির অবস্থান ও তাদের দমন করা সফলতার  পরিপ্রেক্ষিতেই এমন পুরস্কার পেয়েছেন আদনান তানরিভারদি।

তুরস্কে সম্প্রতি ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর ত্রাণ সহায়তা হিসেবে ভারত সর্বাত্মকভাবে তুরস্কের পাশে দাড়িয়েছে! এতে করেও অনেকের ধারণা, পুনরায় জোড়া লাগতে পারে তুরস্ক-ভারতের সম্পর্ক!

এখন শুধু দেখার পালা, তুরস্কের অবস্থান কোন দিকে যায়- ভারতের দিকে? নাকি পাকিস্তানের পক্ষে?

জবাবটা সময়ের জন্যই তোলা রইল…

Amin Tv

শায়খ আহমদ উল্লাহ'র কর্মকাণ্ড। Amin Tv

শায়খ আহমদ উল্লাহ'র কর্মকাণ্ড। Amin Tv

কক্সবাজারে  ৩২ জন রিকশাচালককে রিকশা বিতরণ করল আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশন!


সম্পর্ণ ঘটনাটি ভিডিও আকারে দেখতে চাইলে Amin Tvতে  ক্লিক করুন !

 



স্বাবলম্বীকরণ প্রকল্প-২০২৩ এর আওতায় দরিদ্র রিকশাচালকদের মধ্যে রিকশা বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশন। গত ৯ ও ১৩ই মার্চ ময়মনসিংহ ও কিশোরগঞ্জে দুই ধাপে মোট ১২১ টি রিকশা বিতরণের পর আজ বুধবার (১৫ই মার্চ) কক্সবাজারের ৮টি থানায় আরও ৩২টি রিকশা বিতরণ করেছে সংস্থাটি। পর্যায়ক্রমে সারা দেশে ২হাজার রিকশা চালককে রিকশা প্রদান করা হবে বলে সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে লাইভের মাধ্যমে নিজ হাতে রিকশাওয়ালাদের কাছে রিকশাগুলো হস্তান্তর করেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান শায়েখ আহমাদুল্লাহ।

নিজের ফেসবুক পেজে এক পোস্টে শায়খ আহমাদুল্লাহ লেখেন, দরিদ্র রিকশা-চালকদের উপার্জনের অনেকাংশ দিয়ে দিতে হয় রিকশার মালিককে। ফাউন্ডেশন থেকে রিকশা পাওয়ার ফলে উপার্জনের পুরোটাই নিজের ও পরিবারের ভরণ-পোষণ এবং সন্তানদের পড়াশোনায় ব্যয় করতে পারবেন।”

শায়েখ আরও লেখেন, “উপকারভোগী নির্বাচনের ক্ষেত্রে স্থানীয় ইমাম ও খতীবদের সহযোগিতা নেওয়া হয়েছে। ইমাম-খতীবদের পাঠানো তথ্য ফাউন্ডেশনের নিজস্ব কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে যাচাই-বাছাইপূর্বক অধিকতর উপযোগীদেরকে রিকশা প্রদানের জন্য নির্বাচন করা হয়।”

এ নিয়ে এখনো পর্যন্ত ‘যাকাতের মাধ্যমে স্বাবলম্বীকরণ’ প্রকল্পের আওতায় সর্বমোট ১ হাজার ১৫৯ জন কর্মক্ষম গরিব মানুষকে উপার্জন-উপকরণ যেমন: রিকশা, ভ্যান, সেলাই মেশিন, মুদিমাল, গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগী ইত্যাদি প্রদান করল আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশন।  

 

আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশন দেশের জনসাধারণের কাছে একটি পরিচিত নাম। মূলত বিভিন্ন সমকালীন ও যুতসই প্রকল্পে বিশ্বস্ততা ও একাত্মতার কাজ করে আসায় দেশের মানুষের কাছে তুমুল জনপ্রিয়তা লাভ করে এই সংস্থাটি। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও বিভিন্ন দুর্যোগে দেশের মানুষকে সাথে নিয়ে সর্বাত্মকভাবে তাঁরা এগিয়ে এসেছে। সম্প্রতি তুরস্কে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ ভুমিকম্পের সময় ত্রাণ সামগ্রী হিসেবে ইউরোপিয়ান স্ট্যান্ডার্ডের মাইনাস টেন ডিগ্রিতে ব্যবহার উপযোগী ১৩ হাজার জ্যাকেট ও ২ হাজার জোড়া ওয়াটারপ্রুফ জুতা প্রদান করেছিল এই অরাজনৈতিক সংস্থাটি।

তাছাড়াও গত বছর সিলেটের ভয়াবহ বন্যায় বিপুল পরিমাণ ত্রাণসামগ্রী সরবরাহ করেছিল শায়খ আহমাদুল্লাহ কর্তৃক পরিচালিত এই ফাউন্ডেশনটি। বিভিন্ন সময়ে যুগোপযোগী এসব উদ্যোগ গ্রহণ করে দেশের মানুষের মাঝে ভালোবাসার জায়গা করে নিয়েছে আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশন।

শুধুমাত্র দার্তব্য ক্ষেত্রেই নয়, ফাউন্ডেশনটি কাজ করছে অন্যান্য ক্ষেত্রেও।  দক্ষ ও বিশ্বস্ত জনশক্তি গড়ে তোলার জন্য কিছুদিন পূর্বে আস-সুন্নাহ স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট আলেমদেরকে অ্যাকাউন্টিং ও অফিস ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে। এছাড়াও মাদরাসা ও জেনারেল সিলেবাসের সমন্বয়ে ভিন্ন পাঠ্যসূচিতে পাঠদান করার লক্ষ্যে তাঁরা প্রতিষ্ঠা করেছে “মাদরাসাতুস সুন্নাহ” নামে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তাঁরা মডেল মসজিদ, আস সুন্নাহ কমপ্লেক্স সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করছে ও সেই অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের এত জনপ্রিয়তায় মূল কারণ হচ্ছেন এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক শায়েখ আহমাদুল্লাহ। সারা বিশ্বের বিভিন্ন ভাষাভাষির মানুষের কাছে এক পরিচিত মুখ তিনি। একজন মধ্যমপন্থী আলেম হিসেবে প্রায় সকল ঘরানার মানুষের কাছেই তুমুল জনপ্রিয় এক ব্যক্তিত্ব শায়েখ আহমাদুল্লাহ।

দীর্ঘদিন থেকেই লেখালেখি, গবেষণা ও সভা-সেমিনারে লেকচার প্রদানসহ নানামুখী দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন তিনি। সমকালীন বিভিন্ন বিষয়ে দুরদর্শী বক্তব্য প্রদান, সাধারণ মানুষের মাঝে উদ্ভুত বিভিন্ন সমস্যা সংক্রান্ত প্রশ্নের যথাযথ ও কার্যকরী উত্তর প্রদান, দ্বীন ইসলামের বিভিন্ন বিষয়কে  মানুষের মাঝে সাবলীল ও প্রাঞ্জল ভাষায় উপস্থাপন  এবং বিভিন্ন দুর্যোগে যথাযোগ্য উদ্যোগ গ্রহণ তাকে বিশ্বের আনাচে-কানাচের বাংলা ভাষাভাষী মানুষদের পাশাপাশি অন্য ভাষার মানুষদের মাঝেও জনপ্রিয় করে তুলেছে।  

 

শায়েখ আহমাদুল্লাহ মূলত পড়ালেখা করেছেন কওমী মাদ্রাসায়। অসামান্য মেধাবী এই দ্বায়ী শিক্ষাক্ষেত্রেও নিজের মেধার জানান দিয়েছেন। কওমী মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড  থেকে সানুবিয়্যা তথা উচ্চমাধ্যমিকে পরীক্ষায় তিনি দশম স্থান, স্নাতকে তৃতীয় স্থান ও দাওরায়ে হাদীসে সম্মিলিত মেধাতালিকায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন।

২০০১ সালে দাওরায়ে হাদীস শেষ করে খুলনা দারুল উলূম থেকে ইফতা সম্পন্ন করেন। এরপর প্রায় ৬ বছর দুটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতার পাশাপাশি একটি মসজিদে ইমাম ও খতিবের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৯ সালে আরবী ভাষায় বিশেষ দক্ষতার কারণে ডাক পান মধ্যপ্রাচ্যে। সৌদি আরবের পশ্চিম দাম্মাম ইসলামিক দাওয়াহ সেন্টারে অনুবাদক হিসেবে প্রায় দশ বছর কাজ করেন।

প্রখ্যাত দ্বায়ী ড.খন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহ) সহ অন্যান্য বিশিষ্ট আলেমে দ্বীনদের সাহচর্য তাঁকে এক অসাধারণ ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন মানুষে পরিণত করেছে। দাওয়াতী পরিমণ্ডলে বিভিন্ন অনিয়ম দূরীকরণেও সর্বাত্মক কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। গভীর রাতে মাহফিল, মাহফিলের বাইরে মাইকের আওয়াজ পৌছানো সহ আরও কিছু অনিয়ম সংশোধনে তিনি ব্যাপকভাবে সোচ্চার।

সম্প্রতি তিনি বিভিন্ন মাহফিলে শ্রোতাদের মাঝে লেকচারের বিষয়বস্তু সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে বইসহ বিভিন্ন পুরষ্কার বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছেন, যা কিনা শ্রোতাদের মাঝে লেকচার শোনার ক্ষেত্রে মনোযোগ ও একাত্মতা প্রকাশে সাহায্য করছে। অনন্য এই উদ্যোগটিও তুমুল জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।  

আল্লাহ তায়ালা তাঁর সকল ভাল কাজগুলোকে কবুল করে নিন এবং ইখলাসের সাথে উম্মাহর কল্যাণে আরও বেশি বেশি কাজ করার তাওফিক দিন, এই প্রত্যাশায় আজকের মত শেষ করছি।

আল্লাহ হাফেজ! From Amin Tv